২৮ মার্চের ভয়াল ভূমিকম্পের ক্ষত এখন দগদগে। ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে মায়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬০০-রও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন ৫০১৭ জন। এখনও নিখোঁজ প্রায় দেড়শো জন। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে ফের কেঁপে উঠল মায়ানমার। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এক বিবৃতি দিয়ে ভূমিকম্পের বিষয়টি জানিয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভিতরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১।
মৃদু মাত্রার কম্পন হওয়ায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আতঙ্কের জেরে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। এদিকে ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর থেকে ভারত অপারেশন ব্রহ্মার আওতায় মায়ানমারকে সাহায্য করে চলেছে। ভূতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, ইউরেশিয় প্লেট ও ভারতীয় প্লেটের সংঘর্ষের জেরেই ২৮ মার্চ ভূমিকম্প হয়েছিল। দুই প্লেটের সংঘর্ষ অনেকদিন অব্যাহত থাকায় মাঝেমধ্যেই কেঁপে উঠবে মায়ানমারের মাটি।
মায়ানমারের আবহাওয়া ও হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯৮টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ২.৮ থেকে ৭.৫ পর্যন্ত। সাগাইং, মান্দালয় ও মাগওয়ের মতো প্রধান শহরগুলোতে ৮০ শতাংশেরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।