মায়ানমারের পর এবার নিউ ব্রিটেন দ্বীপ। তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত পাপুয়া নিউ গিনির এই দ্বীপ। কয়েক মিনিটের মধ্যে ‘আফটারশক’-ও অনুভূত হয়েছে। শনিবার ভোর ৬টা ৪ মিনিটে প্রথম বার কাঁপে নিউ ব্রিটেন দ্বীপ। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৯। আর ‘আফটারশক’-এর মাত্রা ছিল ৫.৩। আপাতত ওই এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রতিবেশী সলোমন দ্বীপপুঞ্জকেও সতর্ক করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূমিকম্প বলয়ের অন্তর্গত স্বতন্ত্র দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। এই অংশের অধিকাংশ দ্বীপই ভূমিকম্পপ্রবণ। তবে জনবসতি কম থাকায় ভূমিকম্পের জেরে খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয় না এই সমস্ত দ্বীপগুলিতে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, পাপুয়া নিউ গিনিতে শনিবার ভোরে দু’টি কম্পনের মধ্যে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধান ছিল। নিউ ব্রিটেন দ্বীপের উপকূলের অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস। আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, তিন থেকে ন’ফুট পর্যন্ত হতে পারে ঢেউয়ের উচ্চতা।
সম্প্রতি ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে। ২৮ মার্চ কম্পন অনুভূত হয়। মায়ানমারের জোড়া কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ এবং ৬.৭। ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই তিনহাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।