দিল্লি, ১৩ জুলাই– রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কার্যতই দুই শিবিরে বন্টিত গোটা বিশ্বের তাবড়-তাবড় দেশ৷ যদিও আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশের কাছে রাশিয়া চক্ষুশূল নানা কারণে৷ সেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তবে ভারতের এই রাশিয়া সফরকে খুব একটা ভালো চোখে নেয়নি ওয়াশিংটন৷ এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী দূরত্ব বাড়ছে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে? এই পরিস্থিতিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে কথা বললেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷
রাশিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে৷ দুই ‘বন্ধু’ ধরা দেন বেশ খোশমেজাজে৷ কিন্ত্ত এই মোদি-পুতিন সখ্য মোটেই ভালোভাবে নেয়নি আমেরিকা৷
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া৷ এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই অত্যাধুনিক হাতিয়ার দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন৷ যা নিয়ে রেগে লাল মস্কো৷ একাধিকবার আমেরিকা-সহ পশ্চিমা বিশ্বকে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন৷ এই আহবেই গত সোমবার রুশ সফরে যান মোদি৷ যা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকা! ফলে এই সফরকে কেন্দ্র করে আগামিদিনে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেয় তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে কূটনৈতিক মহলে৷ এই পরিস্থিতিতে, গতকাল, অর্থাৎ শুক্রবার সুলিভানকে ফোন করেন ভারতের ‘সুপার স্পাই’ ডোভাল৷ এনিয়ে বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছে দুজনের মধ্যে৷
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা রয়েছে৷ যা খুবই মজবুত৷ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে, স্থিতিশীলতা আনতে ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই দুদেশের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷’ প্রসঙ্গত, মোদির সফরের মাঝেই আমেরিকার বার্তা দিয়ে বলেছিল, “ভারতের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন রাশিয়াকে স্পষ্ট করে বলে দেয় যে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান রাষ্ট্রসংঘের সনদ মেনে হওয়া উচিত যাতে ইউক্রেনের অখণ্ডতা বজায় থাকে৷ রাশিয়ার সঙ্গে যেসমস্ত দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, প্রত্যেকের কাছেই আমরা একই অনুরোধ করি৷’