প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, আমেরিকা বরাবরই মধ্যমেধার কদর করে এসেছে। যার ফলে বর্তমান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। কিন্তু এলন মাস্ক, বিবেক রামস্বামী, শ্রীরাম কৃষ্ণান, ডেভিড স্যাক্সের মতো যাঁরা ট্রাম্প ২.০-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছেন তাঁদের মতে, যদি আমেরিকাকে সব কিছুতে সেরা হতে হয়, তাহলে মেধাবী অভিবাসীদের কদর করতে হবে। তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে গ্রিন কার্ড।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের স্লোগান ছিল ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’। আর ট্রাম্পের সঙ্গে এই স্লোগানের আরও একজন বিখ্যাত অংশীদার ছিলেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। যিনি নিজে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকার অভিবাসন গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ধারনা, ‘যদি আপনি চান আপনার টিম চ্যাম্পিয়ন হোক, তাহলে সেরা প্রতিভাদের নিয়োগ করতেই হবে।’
কিন্তু ট্রাম্পের মনোভাব নিয়ে সম্প্রতি একটি সংশয় তৈরি হয়। এই সংকটের সূচনা ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণনের নিয়োগ নিয়ে। তাঁকে ক্ষমতাসীন হতে চলা ট্রাম্প প্রশাসনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতির নেতৃত্বের ভার দেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। শ্রীরাম কৃষ্ণনও মেধাবী অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড দেওয়ার পক্ষে। যা নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে সওয়াল করেন। একই মত ট্রাম্পের আর এক অনুগামী রামস্বামীরও। ফলে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যার ফলে আমেরিকায় পালাবদলের পর ট্রাম্প এবং তাঁর অনুগামীদের মধ্যে একটি ফাটল দেখা দেয়। কার্যত দুই শিবির দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। আর সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার বহু সম্পত্তিতেই ”এইচ১ বি” ভিসা রয়েছে। আমি এটায় বিশ্বাস করি। বহুবার ব্যবহারও করেছি। এটা একটা দারুণ প্রকল্প।’