• facebook
  • twitter
Friday, 15 November, 2024

শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দিশানায়েকের বামপন্থী জোট

১৯৬টি আসনে সরাসরি ভোট হয়েছে। বাকি ২৯টি আসনে নিকটবর্তী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী ভোট বন্টন করা হয়। শুক্রবার সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনুরার দল ১২৩টি আসন পেয়ে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে।

অনুরা দিশানায়েক। —ফাইল চিত্র।

শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘জনতা বিমুক্তি পেরুমুনা’-র নেতৃত্বে ব্যাপক সাফল্য পেল বামপন্থী জোট। সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল অনুরা কুমারা দিশানায়েকের দল ‘ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার’। বৃহস্পতিবার এই দ্বীপ রাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। দেশের ৬৫ শতাংশ ভোটার ভোটদানে অংশগ্রহণ করেন। নিয়ম মেনে শুক্রবার বিকেলেই পার্লামেন্টে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। যদিও তার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় অনুরা কুমারা দিশানায়েকের দল।

প্রসঙ্গত ২২৫ আসন বিশিষ্ট শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৩টি আসন। কিন্তু ১৯৬টি আসনে সরাসরি ভোট হয়েছে। বাকি ২৯টি আসনে নিকটবর্তী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী ভোট বন্টন করা হয়। শুক্রবার সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনুরার দল ১২৩টি আসন পেয়ে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৬২ শতাংশ। আর সাজিথ প্রেমদাসার এসজেবি পেয়েছে ১৮ শতাংশ ভোট। ভোটের নিরিখে এই দল এখনও পর্যন্ত দ্বীপরাষ্ট্রে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। অন্যদিকে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রনিলের এনডিএফ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ভোটের পর্যালোচনায় জানা গিয়েছে, জাফনা প্রদেশের উত্তরের জেলাগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে প্রেসিডেন্ট অনুরার বামপন্থী জোট।

গত সেপ্টেম্বরেই অনুরা কুমারা দিশানায়েক প্রেসিডেন্ট হয়েই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন। ফলে পুনরায় দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম মতো ভোটগ্রহণের পরেই গণনা শুরু হয়ে যায়। সেই গণনায় শুক্রবার সকালেই ভোটের ফলাফলের অনেকটা স্পষ্ট আভাস মেলে। দেখা যায়, অনুরার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেলা যত গড়ায় সেই চিত্র আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে অনুরার নেতৃত্বাধীন বামপন্থী জোট।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪২.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন অনুরা। ৩২.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ‘সমাগি জন বলবেগয়া’ (এসজেবি)-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তথা ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-র প্রধান রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে ১৭.২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ফের নির্বাচন হতেই বামপন্থী সুনামিতে প্রায় ধুয়ে মুছে গেল বিরোধীরা।