• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

ঘূর্ণিঝড় ‘শান শান’-এ বিধ্বস্ত জাপান, মৃত ৫, আহত ৮২

জেরে বেশ কিছু জায়গায় টর্নেডোর সৃষ্টি হয়েছে

ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত জাপান। বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘শানশান’-এ বিধ্বস্ত হয়ে গেল এই দেশের একাধিক এলাকা। জাপানের কাগোশিমায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হয়। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস প্রবাহিত হয়। যার জেরে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৮২ জন।

জিনহুয়া সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ২৫২ কিমি বেগে আছড়ে পড়ে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দ্বীপ কাগোশিমার মিয়াজাকি অঞ্চলে। যার জেরে কাগোশিমাতে ৭৯ জন এবং মি অঞ্চলে আরও একজন জখম হন। এদিকে ঘটনার পর কাগোশিমার একজন বয়স্ক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যান। বিধ্বংসী এই ঝড়ে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শহর। প্রায় ২০০ বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঘটনার জেরে বেশ কিছু জায়গায় টর্নেডোর সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টির জেরে জাপানের দক্ষিণ অঞ্চলে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। কিউশু শিনকানশেন, স্যানিও এবং টোকাইডো শিনকানসেনের বেশ কিছু অঞ্চলে রেল পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। প্রচুর বিমানও পরিষেবা স্থগিত করা হয়। এই ঝড়ের জেরে কাগোশিমা এবং মিয়াজাকি অঞ্চলের ৫০টি সুপার মার্কেটের ৯০০টি দোকানে মালপত্র আমদানি এবং সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এছাড়া মিয়াজাকি শহরের উপকূল অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, এই দুর্যোগ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আগাম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে টাইফুন ‘শানশান’ শুক্রবার থেকে কাগোশিমার পূর্ব দিকে জাপানের হনশু দ্বীপাঞ্চলে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। ঘটনার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তাঁর মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন। যাতে ঝূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত নাগরিকদের প্রবল বৃষ্টি, ভূমিধস এবং নদীর জলস্ফীতি থেকে সতর্ক ও সুরক্ষিত রাখা যায়। জানা গিয়েছে, এর আগে মঙ্গলবার থেকে এই টাইফুনের জেরে গরম ও আর্দ্র বাতাসের কারণে গামাগরি শহরের আইচি অঞ্চলে ভূমিধস নামে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনার জেরে তিনজন ব্যক্তি নিহত এবং দুই জন জখম হন।