• facebook
  • twitter
Friday, 8 November, 2024

ট্রাম্প সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে কি থাকতে পারেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক?

২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনও নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁর সরকার গঠিত হওয়ার আগে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।

ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ফাইল চিত্র

আমেরিকায় দ্বিতীয়বার মসনদে ট্রাম্প। ইতিমধ্যে তাঁর জয়ের খবরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়করা। টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্পের পাশে থেকেছেন। তিনি ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে ছিলেন খুবই আশাবাদী। তাঁর সামাজিক মাধ্যম এক্সে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিলেন।

প্রচার ও আমেরিকার মানুষের সমর্থনে তিনি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন। এবার তাঁর সরকার গঠনের পালা। কিন্তু দ্বিতীয় বারের ট্রাম্প সরকারে কে কে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সেই তালিকায় নাম উঠে এসেছে একজন সুসি ওয়াইলস নামে এক সুন্দরী মহিলার নাম। তিনিই প্রথম, যিনি হোয়াইট হাউজে কোনও মহিলা চিফ অফ স্টাফ হচ্ছেন। এই সুসি ওয়াইলসই এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে ট্রাম্পের প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৬ সালে এই দায়িত্ব সম্পাদন করেছিলেন ট্রাম্পের জামাই অর্থাৎ ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী জেরার্ড কুশনার।

সুসি ওয়াইলসের পাশাপাশি, আরও এক বিখ্যাত নাম ট্রাম্পের সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে ভেসে উঠেছে। তিনি হলেন টেসলা কর্তা ও স্পেস এক্স কর্ণধার ইলন মাস্ক। তবে মাস্কের নাম এখনও জল্পনার স্তরে রয়েছে। বাস্তবে সেটা কতটা কার্যকরী হবে, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

কারণ, ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনও নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁর সরকার গঠিত হওয়ার আগে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। শোনা গিয়েছিল, সেইসব বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নাকি ইলন মাস্কের সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ঠাঁই পেতে চলেছেন। কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছুই মেলেনি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দেখার বিষয়, টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক দ্বিতীয় ট্রাম্প সরকারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কিনা। এবং ট্রাম্পও এব্যাপারে কোনও প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা।

এদিকে ২০১৬ সালে আমেরিকার নির্বাচনী প্রচারের শুরুতেই জল্পনা ছড়িয়েছিল, ট্রাম্পের জামাই এবার দ্বিতীয় ট্রাম্প সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন। কিন্তু সরকার গঠনের পর দেখা যায়, ইভাঙ্কার স্বামী জেরার্ড কুশনারের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। তাঁকে শ্বশুর ট্রাম্পের পরামর্শদাতা হিসেবেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছিল।

এবার কী হয়, সেটা অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না। তবে যে ব্যক্তিই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ধরণটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। অন্তত ভারতীয় রাজনীতির মতো স্বজনপোষণ বা পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির সম্ভাবনা খুবই কম। সেজন্য ট্রাম্পের পরিবারের পক্ষ থেকে এই সরকারে কোনও দায়িত্ব পেতে পারেন কিনা, এখনই চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বলা সম্ভব নয়।