চিনে করােনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩২। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১০৬। আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবারের তুলনায় এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ছ’হাজার।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩১টি প্রদেশ থেকে নতুন করে ১৪৫৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বেজিংয়ে ৩১ জনের রক্তে পাওয়া গিয়েছে করােনাভাইরাস । সাংহাইয়ে এই সংখ্যা ৮০। তিব্বত অটোনােমাস রিজিয়ন থেকে প্রথম আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলেও করােনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে গােটা দেশে।
বুধবার সকালে ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ৩১টি প্রদেশ থেকে মােট ৫৯৪টি কনফার্মড কেসের খবর পাওয়া গিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় ২০০ জাপানি নাগরিককে এয়ারলিফট করে চিন থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে জাপান সরকার। আমেরিকাও বিমানে ফেরত নিয়ে গিয়েছে ২৪০ জন মার্কিন নাগরিককে।
এই নতুন আতঙ্ক ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। ১৭টি দেশে অন্তত এমন ৬০ জন রােগীর সন্ধান মিলেছে, যাঁদের প্রত্যেকের শরীরেই নভেল করােনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত। আমেরিকা, ম্যাকাও, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশের পাশাপাশি জার্মানি ও শ্রীলঙ্কায়ও এই রােগের জীবাণুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
বার্লিন প্রশাসনের দাবি, সে দেশের আক্রান্ত ব্যক্তি চিনে যাননি। তবে একজন চিনা ব্যক্তির সঙ্গে গত সপ্তাহে দেখা করেছিলেন। থাইল্যান্ডেও মঙ্গলবার নতুন করে ছ’জন কারােনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খবর সামনে এসেছে।