দেশে ফের করাল থাবা বসিয়েছে করােনা ভাইরাস। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাসছে গােটা দেশ। রােজই রেকর্ড গড়ছে মারণ ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ২০ জন। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী এই সংক্রমণের পেছনে যে ভাইরাস, তার উৎস কী?
বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা একাধিক তত্ত্ব তুলে ধরলেও কেউ হলফ করে করােনার উৎস সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। বিশ্ব সংস্থার কাছেও করােনার উৎস নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনের একটি যৌথ সমীক্ষার দাবি, ল্যাব থেকে করোনা না-ছড়ানাের সম্ভাবনাই বেশি। বরং জোরালো হচ্ছে বাদুড় থেকে করোনা মানুষের শরীরে আসার সম্ভাবনাই।
তবে কীসের ভিত্তিতে করােনার উৎস সম্পর্কে একথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা জানা যায়নি। এর আগে করােনার উৎস খুঁজতে চিনে গিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল। প্রথমে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা করােনা বিধি মেনে চিনে প্রবেশ করতে পারেনি। পরবর্তীকালে হু-প্রধান টেড্রস আধানমের বিশেষ ব্যবস্থায় চিনে প্রবেশ করেন হু-এর প্রতিনিধিরা।
সেখানে উহান সহ একাধিক স্থানে গিয়ে করােনার উৎস সন্ধানের চেষ্টা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করােনার উৎস সম্পর্কে এখনও নির্দিষ্ট কোনও তথ্য না পাওয়া গেলেও ট্রাম্প আমলে বারবার করােনা ছড়ানাের জন্য চিনকেই দায়ী করেছে আমেরিকা। খােদ ডােনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও করােনা ভাইরাসকে উহান ভাইরাস বলে কটাক্ষ করেছিলেন। পাল্টা করােনা ছড়ানাের দায় মার্কিন সেনাদের ওপর চাপিয়েছিল চিন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, করোনা টিকা আবিষ্কার হয়ে গেলেও করােনার উৎস জানলে এই সংক্রমণ ঠেকানাে আরও সহজ হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত দেশে রােজই থাবা বসাচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করােনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯১ জন। যার ফলে দেশে মােট করােনা মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৩। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৪৯৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৮০৮ জন।