ক্লেড ১বি এবার থাইল্যান্ডে। এক ইউরোপীয় ব্যক্তির শরীর থেকে মিলল এমপক্সের নতুন প্রাণঘাতী উপরূপ(ভ্যারিয়ান্ট), যা এশিয়ায় এই প্রথম। জানা গিয়েছে, আফ্রিকা থেকে ওই ব্যক্তি থাইল্যান্ডে এসেছিলেন।
৬৬-বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তির উপর নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরে থাইল্যান্ডের রোগনিয়ন্ত্রক দপ্তর জানায়, উনি এমপক্সের ক্লেড ১বি উপরূপ দ্বারা আক্রান্ত।সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পরে তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও রোগীর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবে।
আক্রান্ত ব্যক্তি গত ১৪ আগস্ট ব্যাঙ্ককে অবতরণ করেন এবং এমপক্সের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ জানায়, তারা ৪৩ জন ব্যক্তিকে আলাদা করে চিহ্নিত করে তাদের উপর নজর রাখছে। যদিও এখনো তাঁদের দেহে কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি, তবুও ২১ দিন পর্যন্ত নজরদারি চালিয়ে যেতেই হবে।
থাইল্যান্ড ৪২টি দেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করেছে, যেখান থেকে থাইল্যান্ডে কেউ এলেই তাকে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে।
এমপক্স একটা ভাইরাসঘটিত জুনোটিক বা প্রাণীবাহিত রোগ। তবে, আক্রান্ত ব্যক্তির ছোঁয়া থেকেও এই রোগ হয়। এই রোগের সাধারণ উপসর্গ জ্বর, পেশিতে ব্যথা, এবং গায়ে বড়ো বড়ো ফুসকুড়ি।
এমপক্স রোগ বহু দশকের পুরোনো হলেও এর ক্লেড-১বি উপরূপটিই বর্তমানে এই রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, যেমন রোয়ান্ডা, বুরুন্ডি, উগান্ডা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া ইত্যাদি দেশে গত জুলাই মাস থেকেই এই রোগ অতিমারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। আগস্ট মাসের প্রথমদিকেই সুইডেনেও ক্লেড ১বি-র প্রথম ঘটনা ধরা পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ক্লেড ১-বি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার শতকরা ৩.৬ শতাংশ। যদিও, থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অধিকর্তা থংচাই কিরাতিহাত্তায়াকর্নের মতে, কোভিডের তুলনায় এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকই কম, কারণ এমপক্স সংক্রমণের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির অত্যন্ত কাছাকাছি আসতে হয়।