• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে চিনের নির্মীয়মান হেলিপোর্ট,  উদ্বেগ বাড়ল ভারতের  

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অদূরেই একটি নতুন হেলিপোর্ট বা কপ্টার-বন্দর নির্মাণ করছে চিন। দুই দেশের মধ্যবর্তী প্রকৃত  নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে এটি গড়ে তোলা হচ্ছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। বিতর্কিত এই হেলিপোর্ট চীনা সেনাকে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপগ্রহ চিত্রেও এই হেলিপোর্ট নির্মাণের ছবি চোখে পড়েছে।

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অদূরেই একটি নতুন হেলিপোর্ট বা কপ্টার-বন্দর নির্মাণ করছে চিন। দুই দেশের মধ্যবর্তী প্রকৃত  নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে এটি গড়ে তোলা হচ্ছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। বিতর্কিত এই হেলিপোর্ট চীনা সেনাকে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপগ্রহ চিত্রেও এই হেলিপোর্ট নির্মাণের ছবি চোখে পড়েছে।

তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অন্তর্গত গোংরিগাবু চু নদীর তীরে নায়িংচির পাহাড়ি উপত্যকায় এই হেলিপোর্টটি নির্মাণ করছে চিন। এলাকাটি চিনের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়লেও উদ্বেগ বাড়ছে দিল্লির। উপগ্রহ চিত্র বিশদে দেখা গিয়েছে যে, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে জায়গাটি ফাঁকাই ছিল। ৩১ ডিসেম্বরের ছবিতে দেখা যায়, জায়গাটি নির্মাণের উপযুক্ত করা হচ্ছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর যে ছবি পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যাচ্ছে, কপ্টার-বন্দর নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে ।   

একটি পূর্ণমাত্রার হেলিপোর্ট নির্মাণ করতে দেখা গেছে , যেখানে ৬০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পার্বত্য এলাকার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এই হেলিপোর্ট থেকে হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারবে। এখানে রয়েছে কমপক্ষে তিনটি  হ্যাঙার বা কপ্টারের গ্যারাজ। রয়েছে একটি অ্যাপ্রন এরিয়া যেখানে হেলিকপ্টার পজিশন নিতে পারবে। এছাড়াও রয়েছে একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল পরিষেবা এবং একাধিক ভবন। এটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে চিনা প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষে দ্রুত সেনা মোতায়েন, যুদ্ধাস্ত্র ও অন্যান্য রসদ সরবরাহের কাজ অনেক দ্রুত এবং সহজ হবে।

ভূক্ষেত্র গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ কোনও বিশেষ অঞ্চলের উপগ্রহ ছবির বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন প্রথম চিনের এই হেলিপোর্ট নির্মাণের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। তাঁর মতে, এই নতুন হেলিপোর্ট নির্মাণ হলে চিনের সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি ও উদ্ধারের কাজ দ্রুতগতিতে করতে পারবে। এই এলাকা অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় সামরিক রসদ সরবরাহের কাজ বেশ কঠিন ছিল। হেলিপোর্ট নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে দূরবর্তী অঞ্চলে দ্রুত সেনা মোতায়েন করা, জোরদার টহলদারি আরও সুগম হবে। এই হেলিপোর্ট নির্মাণ চিনা হামলা ও আত্মরক্ষার পক্ষে সহায়ক হবে।

সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র দুজনেই দাবি করেছিলেন, দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হয়েছে। লাদাখের প্রায় ৭৫ শতাংশ দখল করা এলাকা চিনের দখলমুক্ত করতে পেরেছে ভারত। ভারতীয় সেনার একটি সূত্রের খবর, চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে ভারত। এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রবীণ বক্সী। তিনি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।

অনুমান করা হচ্ছে, বিতর্কিত অঞ্চলের উপর নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠা করতে চীনের এই পদক্ষেপ। সব মিলিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ইন্দো-চিন সীমান্তে।