প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রােহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে যা করণীয় তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে চিন।পাঁচদিনের চিন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়ােজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়,রােহিঙ্গাদের ফেরানাের প্রশ্নে, চিনা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের এমন কোনও তথ্য আছে কিনা,যা বাংলাদেশের জন্য সুখবর বিবেচনা করা যেতে পারে?জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,তারা(চিনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী)বলেছেন,বিষয়টি দেখবেন,বিবেচনা করবেন,এটা কি সুখবর মনে হচ্ছে না?নাকি দুঃখের খবর মনে হচ্ছে?
তিনি বলেন,এটা ঠিক যে চিন বরাবরই মায়ানমারের সঙ্গে আছে।কিন্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রােহিঙ্গারা যে একটা সমস্যা,এটা তারা উপলব্ধি করতে পারছেন। তারা সবসময় মনে করছেন বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।এজন্য তাদের যা করণীয় তারা তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচদিনের সরকারি সফরে গত ১ জুলাই চিন যান প্রধানমন্ত্রী।সফর শেষে শনিবার তিনি দেশে ফেরেন।এই সফর নিয়ে আজ বিকেলে মুখােমুখি হন সাংবাদিকদের।
সফরকালে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি চিনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ)অ্যানুয়াল মিটিংয়ে যােগদান করেন এবং ‘কোঅপারেশন ইন দ্য পাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলােচনায় অংশ নেন।প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ঢাকা ও বেজিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযােগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন,রােহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও মায়ানমারে যাবেন।চিনা নেতারা বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারকে সম্মত করতে চেষ্টা করবেন বলে আমাকে আশ্বাস আশ্বস্ত করেছেন।রােহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে চিনের প্রধানমন্ত্রী বলেন,চিন তার | পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দু’বার মায়ানমারে পাঠিয়েছে।আলােচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে প্রয়ােজনে তারা আবারও মন্ত্রীকে মায়ানমারে পাঠাবে।শেখ হাসিনা বলেন,আমি উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করি।রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে এই শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আমি উল্লেখ করেছি।