প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় বাড়ছে চিন সেনার তৎপরতা, পেন্টাগনের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে এমনটাই। পেন্টাগনের ‘মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভলপমেন্ট ইনভলবিং দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ চাইনা’ শীর্ষক বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বেজিং তিব্বত এবং অরুণাচল প্রদেশের ১০০ টি বাড়ি তৈরি করছে।’
তাসরি চু নদী সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছে এই গ্রামটি। সম্প্রতি সময়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে চিন এই ধরনের গ্রাম তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই গ্রামগুলি দুটি ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেখানে সেনাদেরও রাখতে পারে চিন, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, এই গ্রামটি তাসরি চু নদীর তীরে অবস্থিত। এই অংশ নিয়ে গত ৬০ বছর ধরে বিবাদ থাকলেও আপাতত তা নিয়ন্ত্রণ করে বেজিং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় চিনের সেনাশক্তি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বগ প্রকাশ করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
শাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০০ থেকে চিনের পারমাণবিক শক্তির সংখ্যা ১০০০-এ পৌঁছবে। পেন্টাগনের রিপোর্ট বলছে ভারত এবং চিন দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিরাট সেনা মোতায়েন করছে। পাশাপাশি চিন ভারতকে সীমারেখায় উত্তেজনা তৈরি করার জন্য দোষারোপ করেছে।
এছাড়া সীমানা বরাবর বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন, যা ভারতের সীমা দখলের প্রয়াস হতে পারে। পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে যেন কোনওভাবে আমেরিকা হস্তক্ষেপ না করে সেই বিষয়ে চিন সচেতন করেছে।
উল্লেখ্য, এই রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ভারত বা চিনের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত এবং চিন। ডোকলাম নিয়ে ভারত চিন সংঘাত চরমে উঠেছিল।
সেই সময় আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের পথে হেঁটেছিল দুই দেশ। এরপর সামরিকস্তরে বহুবার দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। আলোচনাতে উত্থাপিত শর্ত মেনে পিছু হঠতে রাজি হয়েছিল দুই দেশের সেনাই।
কিন্তু, এরপরেও সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে গঠনমূলক কাজ করছে চিন, জানা গিয়েছিল এমনটাই। কিন্তু, তারপরেও আলোচনার মধ্য দিয়েই সীমান্ত সমস্যার সমাধানের পথে হেঁটেছিল ভারত। তবে পেন্টাগনের এই রিপোর্ট নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।