সরকারি মদতেই পশ্চিমী দেশগুলির উপরে নজরজারি চালাতেই নানান দেশে নিয়োগ চালাচ্ছে চিন। তেমন সম্ভাবনাই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, চিনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোরকদমে কাজ শুরু করেছে হ্যাকাররা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে তেমনই জানা যাচ্ছে। আপাত ভাবে মনে হবে কোনও সাধারণ কর্মখালির বিজ্ঞাপন।
চিনা এক সংস্থা চিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদক চাইছে। কিন্তু তার আড়ালেই রয়েছে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত।
মনে করা হচ্ছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই আগেই জানিয়েছিল এই আশংকার কথা । সেই সম্ভাবনাই সত্য়ি হল।
চিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হচ্ছে অনেককেই। ‘হংকং পোস্টে’র এক প্রতিবেদনেও এমনই দাবি করা হয়েছে।
দেখা গিয়েছে, চিনের হাইনান, সিচুয়ান, জায়ানের কলেজগুলির প্রায় ১৪০ জন পড়ুয়া এই চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। তাঁরা সদ্য স্নাতক। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কাজে লাগিয়ে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি করাতে চাইছে বেজিং।
২০২১ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্টেও এমন সম্ভাবনার কথাই উঠে এসেছিল। আশঙ্কা, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেই চিনে স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করাতে দেখা গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকেও কাজে লাগাতে দেখা গিয়েছে চিনা হ্যাকারদের।