• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 April, 2025

ট্রাম্পের পাল্টা হুঙ্কার জিনপিংয়ের, মার্কিন পণ্যে চাপানো হল ১২৫ শতাংশ শুল্ক

ট্রাম্পের ষোষণামাফিক আমেরিকার বাজারে যাবতীয় চিনা পণ্যের উপর শুল্ক চেপেছে ১৪৫ শতাংশ। পাল্টা আমেরিকার পণ্যে চিন শুল্ক আরোপ করেছে ১২৫ শতাংশ।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

চিন-আর আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধ অব্যাহত। অনড় অবস্থানে উভয় পক্ষই। ট্রাম্পের ষোষণামাফিক আমেরিকার বাজারে যাবতীয় চিনা পণ্যের উপর শুল্ক চেপেছে ১৪৫ শতাংশ। পাল্টা আমেরিকার পণ্যে চিন শুল্ক আরোপ করেছে ১২৫ শতাংশ। মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক শনিবার থেকেই কার্যকর করার কথা জানিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে চিনে আমেরিকার পণ্যের আমদানি প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। অন্যদিকে আমেরিকার বাজারেও নতুন শুল্কনীতির আঁচ লেগেছে। শেয়ার বাজার ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে।

নতুন শুল্কনীতিতে মার্কিন পণ্য আমদানি কার্যত অসম্ভব, চিনের অর্থমন্ত্রী এক প্রকার মেনেই নিয়েছেন। তবে হার মানতে রাজি নন কোনও পক্ষই । ট্রাম্পের হুঙ্কার আর তার বিপরীতে শি জিনপিং-এর পাল্টা চ্যালেঞ্জে স্পষ্ট এখনই এই যুদ্ধে ইতি টানার কোনও সম্ভাবনা নেই উভয় তরফেই।

শনিবার চিন পাল্টা শুল্ক আরোপের পর সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্প একটি পোস্টে  লিখেছেন, ‘শুল্কনীতি নিয়ে আমরা খুব ভাল কাজ করছি। এটা আমেরিকা তথা সারা বিশ্বের জন্য খুবই উত্তেজনার সময় । দ্রুত আমরা এগিয়ে চলেছি।’ নিজের শুল্কনীতির সমর্থনেই কথা বলছেন ট্রাম্প। সমঝোতা বা পিছিয়ে আসার কোনও ইঙ্গিত তাঁর বক্তব্যে পাওয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আমেরিকার প্রশাসন সূত্রেও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, শুল্ক সমঝোতার বিষয়ে প্রথমে উদ্যোগী হতে হবে চিনকেই।

তবে চিনের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে সমঝোতায় আসতে আগ্রহী প্রেসিডেন্ট, এমনটাই জানা গিয়েছে হোয়াইট হাউসের অন্য এক সূত্রে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প নিজে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘শি জিনপিং আমার অনেক দিনের বন্ধু। আমার মনে হয়, আমরা এমন কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারব, যা দুই দেশের পক্ষেই লাভজনক।’’
চিন-সহ একাধিক দেশের উপর পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। উচ্চ হারে লাগু করা এই শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার কথা ছিল। তবে তার ঠিক আগেই ৯০ দিনের জন্য নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই বর্ধিত শুল্ক স্থগিতের নির্দেশ অন্য  দেশগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও চিনের ক্ষেত্রে  হয়নি। বরং চিনের উপর শুল্কের পরিমাণ ট্রাম্প আরও বাড়িয়ে দেন, যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশে। চিন ও আমেরিকার মধ্যে এই শুল্কযুদ্ধ সার্বিক ভাবে বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে।

আমেরিকার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের সাহায্য চেয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ইউরোপায় ইউনিয়নকেো একত্রিত হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন জিনপিং।