দেশের নাগরিকদের মালদ্বীপে যেতে নিষেধ করল চিন

দেশের নাগরিকদের মালদ্বীপে যেতে নিষেধ করল চিন

বেজিং- মালদ্বীপের হিংসাত্মক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই চিন সেদেশের নাগরিকদের চগুটি কাটাতে সেদেশে যেতে নিষেধ করছে। আর তাতেই বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে মালদ্বীপের অর্থনীতি।

ফলে চিন্তায় রীতিমত কপালে ভাঁজ প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামেনের, কারণ মালদ্বীপের রাজনীতির সিংহ ভাগ নির্ভর করে চিনা পর্যটকদের ওপরই। মালদ্বীপের সুপ্রিমকোর্ট প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে ছেড়ে দেওয়া ও রাজনৈতিক বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া ও ভিন্নমতাবলম্বী আইনপ্রনেতাদের পুনর্বহাল করার ব্যপারে নির্দেশ জারি করা হয়েছে তা মেনে চলতে।

কিন্তু ইয়ামেন শীর্ষ আদালতের নির্দেশ জারি করতে সম্মত না হওয়ায় বিরোধী দলগুলি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করায় অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জেং সুয়াং বলেন, ‘মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বেজিং’। তিনি বলেন, স্থিতাবস্থা ও সামাজিক গতি বজায় রাখতে গেলে আলোচনাই একমাত্র পথ – সেজন্য মালদ্বীপ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান খুঁজতে বলেন।


যদিও এই মূহুর্তে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে বিষয়টিকে নিয়ে যাবার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। এদিকে ভারত ও আমেরিকা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জারি করতে বলেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে বিশ্ব চিনপন্থী হিসেবেই চেনে।

সুয়াং বলেন, ‘মালদ্বীপে যা ঘটেছে, ওটা মালস্বীপের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। চিন এই পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আলোচনার টেবলে বসে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানের পথে হেঁটে দেশে অভ্যন্তরীণ স্থিতাবস্থা ও সামাজিক গতিশীলতা ফের প্রতিষ্ঠা করতে’।

যদিও চিন দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁদের মালদ্বীপ যেতে নিষেধ করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে চিনে নতুন বছরের ছুটি শুরু হবে- কিন্তু একসপ্তাহব্যপী ছুটিতে কেউই মালদ্বীপ যেতে পারবেন না।

তবে এটা জানা গেছে ৬০০০ পর্যটক এখন মালদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ইয়ামেন সাম্প্রতিক সময়ে ব্যপক হারে চিনা বিনিয়োগে সম্মতি দিয়েছেন, পাশাপাশি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছিলেন, যা নিয়ে বিরোঢী দলগুলি কঠোর সমালোচনায় মুখর।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে ‘মর্যাদাহানিকর’ বলে মন্তব্য করে বলেন, এই চুক্তি মালদ্বীপের জাতীয় স্বার্থে সম্পাদন করা হয়নি।