বিলেতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর কাছে দেশের সংবিধান রক্ষার মিনতি জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পার্লামেন্ট স্কোয়ারে হওয়ার সময় হঠাৎ দেখা বাপুর সঙ্গে। হাঁটতে হাঁটতে অগত্যা দাঁড়িয়ে পড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি দেখে মমতার স্বগতোক্তি, ‘একটু প্রণাম করে যাই!’ কিন্তু প্রণাম ও প্রার্থনা তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফুল ছিল না সঙ্গে। তাই পরক্ষণেই বলেন, ‘আরে, ফুল তো আনিনি! আগে জানলে একটু ফুল নিয়ে আসতাম।’ তাতে দমার পাত্রী নন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী কুসুমকুমার দ্বিবেদী মুশকিল আসন করলেন। মূর্তির পাশের একটি ছোট্ট বাগান থেকে কয়েকটি ফুল তুলে এনে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দিলেন। আর সেই ফুল নিয়েই তিনি ‘বাপু’র কাছে ভারতের সংবিধান রক্ষার প্রার্থনা সারলেন। পায়ের চটি খুলে মূর্তির পাদদেশে ফুল অর্পণ করে মমতা অস্ফুটে বললেন, ‘বাপু, সংবিধানটাকে রক্ষা কোরো!’
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে মমতা যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানে গিয়ে দেখা করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা। তাঁর সঙ্গে নাচের দলের কয়েকজন সদস্যও ছিলেন। বুধবার সেই ডোনাকে সঙ্গী করে হন্টনের রাস্তায় হাঁটতে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ অন্যান্যদের সঙ্গে লন্ডনবাসী ডোনাকে সঙ্গে নিয়ে মমতা হাঁটতে শুরু করেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ডোনা, হাঁটো তো দেখি। একা একা হবে না, দলে এসো ভাই।’ এই হাঁটার সময়েই পার্লামেন্ট স্কোয়ারে বাপুর মূর্তির সামনে এসে পড়েন তাঁরা। তাঁকে প্রণাম সেরে আরও একটু হাঁটার পীর বিগ বেনের সামনে এসে পড়েন। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওখানে সব আছে। ইকো পার্কেও তো বিগ বেন আছে।’
এভাবে হাঁটতে হাঁটতে সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলে এসে হাজির হন। সেখানে শিল্প সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা দুপুর দুটোয়। কিন্তু মিনিট দশেক আগেই পৌঁছে যান চিরকাল সময়ে মেনে চলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।