ফের ভারতবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগ উঠল কানাডার ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে! এমনটাই জানালেন কানাডার দুই বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিক। তাঁদের বক্তব্য, ভারতের ব্যাপারে গোপন তথ্য বা ‘ইনটেল’ তাঁরা মার্কিন মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দিয়েছিলেন।
কানাডার জাতীয় সুরক্ষা এবং ইনটেলিজেন্স উপদেষ্টা নাতালি দ্রোয়্যাঁ এবং পররাষ্ট্র বিভাগের উপমন্ত্রী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে এই তথ্য ফাঁস করেছিলেন। খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যা এবং অন্যান্য ঘটনার জন্য রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশ জনসমক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগেই তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি ঘটে।
কানাডার পার্লামেন্টে একটি বৈঠক চলাকালীন দ্রোয়্যাঁ জানান, মরিসনের সঙ্গে মিলে এই তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি একটা ‘কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটেজি’-এর অংশ ছিল। ভারতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সেই ব্যাপারে কানাডার দৃষ্টিভঙ্গি যাতে মার্কিন মিডিয়ার কাছে পৌঁছোয়, সেইজন্যই এই কাজ করা হয়।
দ্রোয়্যাঁ জানান, কানাডার থ্যাঙ্কসগিভিং ডে, অর্থাৎ ১৪ অক্টোবরের আগেই এই ‘নন-ক্লাসিফায়েড’ তথ্য বাইরে আসে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ব্যাপারটা দেখা হয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়নি।
এই তথ্যানুযায়ী খালিস্তানি সমর্থক সুখদুল সিং গিলের হত্যার ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় আধিকারিকদের যোগসাজশ প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছিল। ট্রুডো নিজ্জর-হত্যার জন্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভারতীয় আধিকারিকদের দিকে আঙুল তোলার পরেই গিলকে গতবছর উইনিপেগে গুলি করে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা বাড়তে থাকে ১৪ অক্টোবর থেকে। সেইদিনই ভারত কানাডার ৬ জন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কানাডায় ভারতের হাইকমিশনার এবং অন্যান্য রাষ্ট্রদূতকে নিজ্জর-হত্যায় ‘পার্সন অফ ইন্টারেস্ট’ বলে দাবি করায় ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়।