গাজা , ২ আগস্ট– মঙ্গলবার বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়েহের। সেই মৃত্যু সূত্রে জানা যায়, যে গেস্ট হাউসে হামাসের শীর্ষনেতা উঠেছিলেন সেখানেই দুমাস আগে থেকে বোমা রেখে দিয়েছিল মোসাদ। সেই বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয় হানিয়েহর। যদিও সরকারিভাবে এই হামলা নিয়ে ইজরায়েলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে খবর, মোসাদ এজেন্টের বোমা লুকিয়ে থাকার তথ্য জানা গিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ‘রেভলিউশনারি গার্ড’ বাহিনীর আধিকারিকদের মারফত। ওই আধিকারিকদের মতে, মাস দুয়েক আগে তেহরানের একটি অভিজাত গেস্ট হাউসে বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই গেস্ট হাউসটি মূলত রেভলিউশনারি গার্ডের গোপন বৈঠকের জন্য ব্যবহৃত হয়। হাই প্রোফাইল অতিথিরা এলেও এই গেস্ট হাউসেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান। তবে পরে জানা গিয়েছে, ঘরের মধ্যে বোমা ফেটেই মৃত্যু হয়েছে হানিয়েহ এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর। ইরানের প্রশাসনিক কর্তারা সাফ জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে বহু আগে থেকেই বোমা রাখা হয়েছিল। এত সূক্ষ্মভাবে বোমা রাখা হয়েছিল যে, গেস্ট হাউজের পাশের ঘরগুলো সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু হামাস নেতার ঘর সাংঘাতিকভাবে ধ্বংস হয়েছে।
এই ঘটনায় ইজরায়েল দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু সূত্রের খবর, ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আধিকারিকরা সরাসরিভাবে এই অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত। ইরানের সেনার নজর এড়িয়ে যেভাবে দীর্ঘ দুমাস বোমা লুকিয়ে রাখা হল তেহরানের গেস্ট হাউসে, তার ফলে সেনার কার্যকারিতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কে কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাল, সেই নিয়ে এখনও অন্ধকারে ইরানের সেনা। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে ভয়ংকর হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। সেই হামলার নীল নকশা নাকি তৈরি হয়েছিল হানিয়েহ-র বাড়িতে।