বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে ৪ হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু, তুমুল চাঞ্চল্য

চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ সহ দেশের নানা প্রান্তে সংখ্যালঘু হিন্দুরা পথে নেমেছে। এর পাল্টা রাষ্ট্রীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে Bangতবে তাঁদের সংসারে অর্থের টানাটানি ছিল বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের রানীবাজার এলাকার একটি সাততলা আবাসনের চিলেকোঠার দুটি ঘর মাসতিনেক আগে ভাড়া নেন এই পরিবার। স্থানীয় পুলিশের বক্তব্য, পরিবারের প্রধান জনি মণ্ডল তিন সদস্যকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও মৃত্যুর কারণ ঠিক কী, তা জানাতে পারেনি প্রশাসন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ পুরো ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব টাউনের একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের কর্তা জনি মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে জনি মণ্ডলের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ছিল। নিহত চারজনের মধ্যে জনির (৩২) দেহ ফ্যানে ঝুলছিল। তাঁর স্ত্রী নিপা রানী মল্লিকের (২৬) গলা কাটা ছিল। তাঁদের দুই সন্তান ধ্রুব বিশ্বাস (৭) ও কথা বিশ্বাসের (৪) দেহ খাটে পড়েছিল।


জনির মা শিখা রানী বিশ্বাস ভৈরব থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জনির পড়শি কার্তিক বর্মন ও সৃষ্টি রানী বর্মন থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক প্রতিবেশী বলেন, সবকিছু মিলিয়ে মনে হয়েছে, ওই দম্পতির সংসারে অর্থকষ্ট আছে। কিন্তু তাঁদের অসুখী মনে হতো না। আর্থিক বা অন্য কোনও প্রয়োজনে আমাদের কারও কাছে কখনও সাহায্য চাননি।

জনির ছোট ভাই পলাশ বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটির পেছনে অন্য ঘটনা থাকতে পারে। এ জন্যই খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক পরিবারের চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ মহলেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী। এ ছাড়া র‍্যাব, ক্রাইম সিন ও পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন বলে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জনি নেশা করতেন। নেশা করে জনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।