অসুস্থ হয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া।বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরামর্শে তাঁকে গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। সেই সময় ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
গত ৭ জুলাই রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ একাধিক রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের সরকার থাকাকালীন তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি করা হয়। কিন্তু তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মামলাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল। সেই ছাড়পত্রও দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। এর মধ্যেই ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন ।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার গত বছরের অক্টোবরে রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার হয়। আমেরিকা থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর ৫ মাস হাসপাতালে ছিলেন তিনি। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য ফের তাঁর বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
এভারকেয়ার হাসপাতালেই ৪৫ দিন চিকিৎসার পর গত ২১ আগস্ট বাড়ি ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া। গত পাঁচ বছর তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। ৬ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর তিনি বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সচল করা হয় বিএনপি নেত্রীর।