২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে দেশ চালাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও জানা যায়নি বাংলাদেশে কবে হতে চলেছে সাধারণ নির্বাচন। ইউনূসের বক্তব্য, ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ তুলে পথে নামতে চলেছে বিএনপি।
বিএনপির অভিযোগ, সংস্কারের দোহাই দিয়ে আরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভোট আয়োজনের চেষ্টাই করছেন না। সূত্রের খবর, ইউনূসকে চাপে রাখতে বিএনপি বাংলাদেশজুড়ে বড় আন্দোলনের পথে নামার পরিকল্পনা করেছে। দেশের প্রত্যেক শহর এবং জেলায় কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। তবে আন্দোলনে নামার আগে ইউনূসের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে খালেদার দলের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। শরিক দলগুলির সঙ্গেও বৈঠক হবে। তার পর জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। জাতির সামনে অনেকবার তিনি বলেছেন। কিন্তু প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে কিছুদিন পর পর বলা হচ্ছে, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনে, আবার জুন থেকে ডিসেম্বরে এ রকম শিফটিং দেখা যাচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক অদক্ষতার পরিচয়। কারণ, কেবল নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা সম্ভব।’ সূত্রের খবর, নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অনেক বিএনপি নেতা ঈদের ছুটিতে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালিয়েছেন।