• facebook
  • twitter
Wednesday, 8 January, 2025

ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অভিযোগ বিএনপির

অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে জামাত-ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ এবং নির্বাচন ঘিরে টালবাহানার জেরে সেই অসন্তোষ আরও বেড়েছে।

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশে ভোট কবে? এই নিয়ে রীতিমতো তরজা চলছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির। ইউনূস জানিয়েছেন আগে সংস্কার তারপর সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু তা মানতে নারাজ খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এবার নতুন করে ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত খাড়া করলো বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করলেন, দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তাঁর দল এই চক্রান্তের সামনে কোনোভাবেই মাথা নত করবে না। তবে এই চক্রান্তের কারণ কী? কারা এই চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যে জানা গেছে, মঙ্গলবার লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তার আগে দলের স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ছাত্রদের উদ্দেশে বার্তা দেন ফখরুল ইসলাম। ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি জানিয়েছেন, ‘দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তের সামনে আমরা কোনোভাবেই মাথা নত করব না।’ এরপরেই তিনি ইউনূস সরকারকে তোপ দেগে বলেন, ‘ক্ষমতায় ধরে রাখতে ইউনূস সরকার নানা অজুহাতে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপি-র বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে চাপ তৈরি করছে খালেদা জিয়ার দল। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষনেতা ফখরুল ইসলাম ফের ইউনূস সরকারের ওপর চাপ বাড়ালেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘বৈষম্য, দুর্নীতি সব জায়গায় হয়েছে। তা দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ।’ তাঁর বক্তব্য থেকে বাদ যায়নি পূর্বতন আওয়ামী লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের কথাও। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিএনপির মহসচিব।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইউনূসের জমানায় জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় রীতিমত অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে জামাত-ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ এবং নির্বাচন ঘিরে টালবাহানার জেরে সেই অসন্তোষ আরও বেড়েছে। সেই কারণে ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তকে সামনে এনে ইউনূস সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে বিএনপি।

এই আবহে চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সেখানে ২ মাস থাকার কথা তাঁর। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে থাকেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। তারেকের সঙ্গে ৭ বছর পরে দেখা হতে চলেছে খালেদার। তাঁর সঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছেন ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।