পড়শি দেশ বাংলাদেশে ঘটছে একের পর এক সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পৌঁছেছে তলানিতে। এহেন পরিস্থিতিতে ‘বিতর্কিত’ ঘোষণা ইউনূস সরকারের। পাকিস্তানি নাগরিকদের যাতে সহজে ভিসা দেওয়া যায়, সেই পথে হাঁটছে ঢাকা। আর এই ঘোষণায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নয়া দিল্লির কপালে। বাংলাদেশ এবার ভরে যাবে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীতে, এমনটাই উদ্বেগ ভারতের।
গত আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের জেরে হাসিনার নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লিগের সরকারের পতন হয়েছে। দেশচালনার দায়ভার বর্তেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর, যার মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। আর এর পর থেকেই পাকিস্তান উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশের উপর নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে। ইউনূস সরকারও তাতে মদত দিচ্ছে। সূত্র মোতাবেক জানা গিয়েছে, ঢাকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের তরফে সওয়াল করে চিঠি দেওয়া হয়েছে বিদেশমন্ত্রীকে। বলা হয়েছে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের পাকিস্তানি নাগরিক সহজেই যেন বাংলাদেশে আসার ছাড়পত্র পান। তার পরে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সমস্ত বাংলাদেশি দূতাবাস এবং ডেপুটি হাই কমিশনগুলোকে এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে পাকিস্তানি সরকারের হাত রয়েছে, এমনটা মনে করা হচ্ছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে হৃদ্যতা বাড়তে থাকে ইসলামাবাদের। অভ্যুত্থানের পরপরই বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। ফের আবার বৈঠক হল গত মাসেই, আর তারপরেই পাকিস্তানি নাগরিকদের সহজে ভিসা দেওয়ার এই নির্দেশিকা। এই দুইয়ের মধ্যে গভীর সংযোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।