‘স্বার্থান্বেষী, সুদখোর। তিনি ক্ষমতার লোভে বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের সর্বনাশের ছক এঁকেছেন।’ নববর্ষের আগে এভাবেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ইউনূসের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাসপাতাল, হোটেল, কৃষি—সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণের জীবিকা বিপন্ন। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। শিল্প-কারখানা বন্ধ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে, পুলিশ হত্যা করা হচ্ছে আর নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস আমাদের দেশকে ধ্বংস করছে।’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। আমরা যে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলো বানিয়েছিলাম, তা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ইউনূস কি এর জবাব দিতে পারবেন?’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখ আবু সাইয়েদের মৃত্যু নিয়েও মুহাম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ শানান হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশ শুধু রবার বুলেট ব্যবহার করেছে, ধাতব গুলি নয়। তাঁর মাথায় পাথর লেগেই মৃত্যু হয়েছে। ৭.৬২ মিমি গুলির উৎস খুঁজতে গিয়ে এক কর্মকর্তা বদলি হন কারণ ইউনূস নিজেই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।’
নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রাক্কালে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পয়লা বৈশাখে দেশ ও জাতির মঙ্গলে জনগণের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত দেশপ্রেম জাগ্রত হোক। খুলে যাক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। স্বাধীনতাবিরোধী, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী অপশক্তিকে হটিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।…বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যারা এইসব অপতৎপরতা চলাচ্ছে, তারা জাতির শত্রু, সংস্কৃতির শত্রু, দেশের শত্রু। দেশের জনগণ তাদের এই চক্রান্ত সফল হতে দেবে না।’