খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের পথ আরও প্রশস্ত হল। বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার হল। জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন তিনি। এর আগে চলতি মাসেই রাজনৈতিক হিংসা এবং আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও বিনা শর্তে মুক্তি পান তারেক। ফলে লন্ডন থেকে তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামসুন্দর রায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এটিএম মোজাহিদ মনা এই রায়ের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির নেতারা-সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রায়ের পর বিএনপির নেতাকর্মী ও আইনজীবীরা মিছিল করেছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জয়পুরহাট জেলা শাখার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রেজা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন।
জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি কৌঁসুলি শাহনুর রহমান শাহিন লেন, মামলাকারী দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন। মানহানি সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ তিনি আদালতে জমা দিতে পারেননি। সেই কারণেই ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারক তারেক রহমানকে মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
২০১৪ সালে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিতর্কিত বক্তৃতা দেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জয়পুরহাট জেলা শাখার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রেজা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৮ মে জয়পুরহাট সদর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলা নথিভুক্ত হয়। পরে তদন্ত করে পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়।