বর্তমান সময়ে টাকা ছাড়া মানুষ যে কতটা দিশেহারা তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছেড়েছেন তড়িঘড়ি । তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরও দেশে সঙ্কট কাটছে না। অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগে বাংলাদেশের বাসিন্দারা। নতুন সংকটে দিশেহারা বাংলাদেশের মানুষজন। মিলছে না টাকা। এটিএম থেকে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশের অধিকাংশ এটিএম-ই বন্ধ। বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাঙ্ক পরিষেবা। এরজেরে প্রতিবেশী দেশে বন্ধ ব্যাংকগুলোও। রাস্তায়-রাস্তায় জ্বলতে থাকা বিক্ষোভের আগুনের ভয়ে ব্যাঙ্ককর্মী বা সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে যেতেই পারছেন না। ফলে ভরসা আশেপাশের এটিএমই। কিন্তু শিরে সংক্রান্তি সেগুলিও বন্ধ। এর জেরে চরম অর্থ সঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নগদ টাকা না থাকায়, কেনাকাটা করতে চরম সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। কবে টাকা হাতে পাবেন, তা-ও অনিশ্চিত। ফলে আর্থিক সঙ্কট চরমে উঠেছে।
ব্যাঙ্কগুলির তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার অভাবেই দেশজুড়ে অধিকাংশ ব্যাঙ্কের এটিএম বন্ধ। এটিএমে অর্থ সরবরাহের কাজ করে তৃতীয় পক্ষ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা বন্ধ। সেই কারণে এটিএমে টাকা থাকছে না। ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে এটিএম-গুলি।
বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ওয়ান ব্যাঙ্ক, মার্কেন্টাইল ব্যাঙ্ক, এবি ব্যাঙ্ক, এক্সিম ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক এশিয়ার অধিকাংশ এটিএম-ই বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাঙ্কার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-কে জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃতীয় পক্ষ এটিএমে টাকা সরবরাহের কাজ করে। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত অর্থ সরবরাহ করতে না পারায়, এটিএম-গুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দৈনিক প্রায় ৩০ কোটি টাকা সরবরাহ করা হয় কেবল ৪টি ব্যাঙ্কের এটিএমেই। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মাত্র ১০ কোটি টাকা এসেছে।