ঢাকা, ১০ মে: গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণরত বিমানে বড়সড় দুর্ঘটনা। মাঝ আকাশে বিমানে আগুন লেগে কর্ণফুলি নদীর মোহনাতে ভেঙে পড়ে। বিমানে তখন ছিলেন দুইজন পাইলট। বরাতজোরে প্যারাসুটে চেপে দুইজন পাইলট নামলেও একজন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাঝ আকাশে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সেই অবস্থায় কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। ডিগবাজি খেয়ে কর্ণফুলির জলে আছড়ে পড়ে। এরপর বিমানে থাকা দুই পাইলট, উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ প্যারাসুট চড়ে বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন। ভিডিওতে দুইজন পাইলটকে প্যারাসুটে করে আকাশ থেকে নামতে দেখা যায়। একজন প্যারাসুট সমেত নদীর জলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের উদ্ধার করেন নদীতে থাকা মৎস্যজীবীরা। এরপর বায়ুসেনা ও নৌবাহিনী এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে স্কোয়াড্রন লিডারকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রামের ঘাঁটি থেকে উড়ান শুরু করে বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ বিমানটি। সেটি প্রশিক্ষণ শেষে অবতরণের সময় ঘটে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নাক বরাবর মাটির দিকে নেমে আসে বিমানটি। সেই সময়ে বিমানে আগুনও ধরে যায়। শেষে কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে আছড়ে পড়ে বিমানটি। ভেঙে পড়ার সময় বিমানটি দুই টুকরো হয়ে যায়। দুটি অংশেই আগুন ধরে যায়। এমনিতেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাছে অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। সামান্য ভুলচুক হলে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বড় বিপদের মুখে পড়তে পারত বলে আশঙ্কা করা হয়েছে বাংলাদেশ বায়ুসেনার তরফে। বাংলাদেশের বায়ুসেনা বিভাগ দুর্ঘটনার কারণ জানতে কমিটি গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।