বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি

বঙ্গভবন। ফাইল চিত্র

বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সোমবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের ছবিসহ এই তথ্য পোস্ট করেছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে ছবিতে মাহফুজ আলমকে দরবার হলের যেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, সেখানকার দেওয়ালে আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। কিন্তু মাহফুজ আলম যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই। মাহফুজ আলম লিখেছেন,’৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জা যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তাঁর ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাঁকে কোথাও দেখা যাবে না।’

মাহফুজ আলম আরও লিখেছেন,’শেখ মুজিব ও তাঁর মেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন, তার জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই দায় স্বীকার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।’ তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনও ধরনের পুনর্মিলন হবে না।

প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে আরও তিনজন উপদেষ্টা যুক্ত হয়েছেন গত রবিবার। তাঁরা ওই দিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন। মাহফুজ আলম তাঁদের অন্যতম।


এদিকে নতুন তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, শাজাহান খান, প্রাক্তন এমপি আহমেদ হোসেন, আব্দুস সোবহান গোলাপ-সহ আটজনকে। সোমবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

এর পাশাপাশি, সোমবার ঢাকার পল্টন মডেল থানা ও শাহবাগ থানার পৃথক দুই সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ ও সদ্য নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র লীগের ৫৫ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্র লীগের সদস্য ও সমর্থকরা ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন ‘নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক’ কার্যক্রম চালানোর উদ্দেশ্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩০০-৪০০জন সচিবালয়ের বিপরীতে সমবেত হয়ে ছাত্র লীগের ব্যানারে ‘দেশবিরোধী’ স্লোগান দিতে থাকেন। সেখান থেকে ৪২জনকে আটক করা হয়।

এছাড়া শাহবাগ থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, সোমবার দুপুরে  ঢাকার গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ ছাত্রলীগের প্রায় ১৫০জন নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর ফলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হওয়ায় ১৩জনকে আটক করা হয়েছে।