• facebook
  • twitter
Tuesday, 7 January, 2025

চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করল চট্টগ্রাম আদালত

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। ফাইল চিত্র

ফের খারিজ হয়ে গেল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এদিন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে জামিনের সওয়াল করেন। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হল না।

চিন্ময়কে এদিন আদালতে হাজির করা হয়নি। আদালতে আইনজীবীর উপস্থিতিতে আসামির ভার্চুয়াল হাজিরায় জামিন শুনানি হয়। প্রায় আধ ঘণ্টার শুনানি চলে। এরপর সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম ধৃত সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদন খারিজ করেন। বিচারক বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ধৃত চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।

চিন্ময় দাসের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানিয়ে বলেছে, এটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, এর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবার সুযোগ রয়েছে।

চিন্ময়ের প্রথম আইনজীবী শুভাশিস শর্মা গ্রেপ্তারি এড়াতে আত্মগোপন করেছেন। দ্বিতীয় আইনজীবী রবীন্দ্র দাস বুকে ব্যথা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি চিন্ময়ের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে চিন্ময়কৃষ্ণকে দু’বার আদালতে তোলা হলে প্রথমবার তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। কারণ মৌলবাদীদের তরফে আইনজীবীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এমনকি সন্ন্যাসীর হয়ে দাঁড়ানো আইনজীবীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠায় বাংলাদেশের আদালত।

দ্বিতীয়বার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে যান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। কিন্তু সেবারও ভরা এজলাসে প্রবীণ আইনজীবীকে হেনস্থা করা হয় এবং তাঁকে চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে সওয়ালও করতে দেওয়া হয়নি।