• facebook
  • twitter
Thursday, 12 December, 2024

আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে আগুন ধরাল দুষ্কৃতীরা, পুড়ে মৃত্যু হল নেতার মা ও কাকিমার 

হিংসার আগুনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে দলের নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে ফের মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। ঘরের ভিতর থেকে বেরতে না পেরে পুড়েই মৃত্যু হল ওই নেতার মা ও কাকিমার। 

হিংসার আগুনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে দলের নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে ফের মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। ঘরের ভিতর থেকে বেরতে না পেরে পুড়েই মৃত্যু হল ওই নেতার মা ও কাকিমার। 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা যুব লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুমেল আহমেদের বাড়িতে রবিবার রাতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তখন বাড়ির ভিতর ছিলেন রুমেলের মা ও কাকিমা। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে যায় বাড়িটি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাননি ওই নেতার মা ও কাকিমা। বাড়ির মধ্যেই পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।

 
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, হামলা হয়েছে মৌলভী বাজার সদর উপজেলার ১১ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমেদের বাড়িতে। তিনি জেলা যুব লীগের সহ-সভাপতিও। অভিযোগ, রবিবার রাতে তাঁরই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় চরমপন্থীরা। সেসময় বাড়িতে ছিলেন রুমেলের মা ও কাকিমা। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি জ্বলে ওঠায় আতঙ্কে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। আগুনের লেলিহান শিখায় বাড়ির ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।
 
এদিন জেলা ছাত্র লীগ নেতা হেলালের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় কট্টরপন্থীরা। যদিও সেখানে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন ধরানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। 
 
উল্লেখ্য, রবিবার লন্ডনে হাসিনা সমর্থকদের সমাবেশে ছাত্র লীগের প্রচুর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তার জেরেই এই পালটা হামলা কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। এমনিতেই ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। দেশে তাদের সভা-সমাবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দলের সদস্যদের উপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠছে বিরোধী ইউনূস সরকারের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের দিকে। এই ঘটনাকেও পরিকল্পিত খুন বলে অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগ।

হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর হামলা শুরু হয়। মৃত্যুও হয় অনেকের। রবিবারই লন্ডনে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার নিন্দা করেন। ইউনূস প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। আর এদিনই এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা।