• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা, ভারত ও আমেরিকা কথোপকথন

নিউ দিল্লি, ১২ জানুয়ারি: আজ, শুক্রবার হুথি জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালাল আমেরিকা ও ব্রিটেন। ইয়েমেন সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে লাগাতার বোমাবর্ষণ শুরু করেছে এই শক্তিশালী দুই দেশ। এর ফলে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল হুদাইদাহতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আমেরিকা ও ব্রিটেনের বোমাবর্ষণের ফলে হুথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে রাখা বিস্ফোরকেও বিস্ফোরণ ঘটেছে।

নিউ দিল্লি, ১২ জানুয়ারি: আজ, শুক্রবার হুথি জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালাল আমেরিকা ও ব্রিটেন। ইয়েমেন সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে লাগাতার বোমাবর্ষণ শুরু করেছে এই শক্তিশালী দুই দেশ। এর ফলে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আল হুদাইদাহতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আমেরিকা ও ব্রিটেনের বোমাবর্ষণের ফলে হুথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে রাখা বিস্ফোরকেও বিস্ফোরণ ঘটেছে। ফলে এই হামলার ভয়াবহতা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইনে হামলা চালানো ইজরায়েলের বন্ধু দেশগুলির পণ্য পরিষেবার কাজে বাধা দিচ্ছে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সেজন্য আরব ও লোহিত সাগরে তারা এই রাষ্ট্রগুলির পণ্যবাহী জাহাজে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে হুথিরা। মূলত তারা ইরানের মদতপুষ্ট বলে সূত্রের খবর। আমেরিকা বার বার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও তারা পণ্যবাহী জাহাজে হামলা বন্ধ করেনি। এরই পাল্টা স্বরূপ যৌথভাবে হামলা চালাল আমেরিকা ও ব্রিটেন।

এদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা নিয়ে আলোচনায় সামিল হয়েছেন। গতকাল এই তথ্য দিয়েছেন মার্কিন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এই দুই দেশের দুই প্রতিনিধি এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা পরস্পরের সহযোগিতার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নিরপরাধ নাবিকদের বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে। যা অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লোহিত সাগর একটি প্রধান বাণিজ্যিক করিডোর। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সহজতর করে। এবিষয়ে ভারতের সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানান। মার্কিন মুখপাত্র সূত্রে খবর, ইজরায়েল-হামাস সংঘাত, সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ করার প্রচেষ্টা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান বাড়ানোর বিষয়েও কথা হয়েছে। এছাড়া ব্লিঙ্কেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার “আগ্রাসন যুদ্ধ” নিয়েও আলোচনা করেছেন।