ভয়াবহ বন্যা পাকিস্তানে। ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত শতাধিক মানুষ। ঘরছাড়া বহু। বিভিন্ন নদীর আটটি বাঁধ ভেঙে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। আপাতত বানভাসি পাকিস্তানে দুর্দশা চরমে।
দক্ষিণ পাকিস্তানের বালোচিস্তানের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু মানুষ। ডুবেছে ঘরবাড়ি। প্রবল বৃষ্টিতে বাড়তে সেখানকার জলস্তর। গত দু’দিনে সেখানে অন্তত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু। এমনটাই জানিয়েছেন বালোচিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা (বিপর্যয় মোকাবিলা) বিজিউউল্লাহ ল্যাঙ্গভ। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। যার জেরে ৮টি বাঁধ ভেঙেছে।
বালোচিস্তানের পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের। জলে ডুবে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। জখম আরও ৪ জন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে জখম হয়েছেন ৪ জন।
করাচির পরিস্থিতিও তথৈবচ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে পাকিস্তানের নৌসেনাও।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। বালোচিস্তান থেকে দ্রুত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে বলে খবর।
এবারের এই বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকে ২০১০ সালের পরিস্থিতির মিল পাচ্ছে। সে বছরের বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে ছিলেন অন্তত ২০ মিলিয়ন মানুষ। প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। এবার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হওয়ায় আতঙ্কিত পাকিস্তানের আমজনতা।