মায়ানমারের শীর্ষ আধিকারিকের কনভয়ে হামলায় মৃত্যু হয়েছে নয়জন সাধারণ নাগরিক-সহ তিন পুলিশের। শুক্রবার দুপুরে এই হামলা হয় বলে জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন তাঁর বিবৃতিতে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার হুমকি দিয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সু চি’কে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ।
গত সােমবার মায়ানমারের শাসকদল ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমােক্র্যাটিক পার্টির মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানান আচমকা কউন্সিলর সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, মায়ানমার প্রশাসনের প্রাক্তন এক আমলার কনভয় ওই রাস্তা দিয়ে যাবে তা আগে থেকেই জানা ছিল এমএনডিএ-র সদস্যদের। ফলে আগে থেকেই ডেমােক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির ২০ জন সদস্য সেখানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ওত পেতে ছিল।
কোকাং-র প্রশাসনিক আধিকারিক ইউ খিন মং লুইংর কনভয়টি লাশিও থেকে লক্কাইয়ের দিকে যাওয়ার পথেই অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় ডেমােক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নয়জন সাধারণ নাগরিকসহ তিনজন পুলিশের।
গত বছর বিরােধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছে আং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমােক্রেসি। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় অশান্ত হয়েছে মায়ানমার। এহেন পরিস্থিতিতে ডেমােক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির হামলা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে।