বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার দিচ্ছে আমেরিকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রচুর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আর্থিক পুনর্গঠনে এগিয়ে এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই সংক্রান্ত চুক্তিও সই হয়েছে।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পুনর্গঠনে ২০ কোটি ডলার দিচ্ছে আমেরিকা। রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সাহায্য করার জন্যই আর্থিক সাহায্য করছে আমেরিকা।

রবিবার সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে ৬ সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-ও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।


এই চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব ও আর্থিক খাত নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য নিয়েও কথা হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে। বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা সামনে আনলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালে আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি মেনেই বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য করছে আমেরিকা। দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট নামক চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত।

এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৯৫ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার আর্খিক সাহায্য করার কথা আমেরিকার। ইতিমধ্যেই ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এবার পেতে চলেছে ২০ কোটি ২২ লক্ষ ডলার। এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৮০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক সাহায্য করেছে আমেরিকা।