নিজের বক্তব্যের ভিত্তিতে কোন তথ্য বা প্রমাণ না দিয়ে ডেভিড মরিসন বলেছিলেন, ‘এক সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ভারতের যে শীর্ষ নেতার অনুমোদনে কানাডায় খলিস্তানিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে সেই ব্যক্তি অমিত শাহ কিনা। আমি নিশ্চিত করেছি হ্যাঁ অমিত শাহ-ই সেই ব্যক্তি। ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে কমিটির সামনে হাজির হয়েছিলেন মরিসন। মরিসনের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নতুন করে ভারত -কানাডা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। তারই মধ্যে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতি মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ।
কানাডা ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় ভার্মাকে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় অন্যতম মাথা বলে কানাডা ঘোষণা করেছিল, এর পরে ভারত ভার্মা-সহ আরও পাঁচজন ভারতীয় কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে। ভারত কঠোরভাবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে ভারত সন্ত্রাসবাদী হিসাবে আগেই ঘোষণা করেছিল। ২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপরই ভারতের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে সরব হয় কানাডা।
ভারত ও কানাডার সম্পর্ক দিনের পর তলানিতে ঠেকেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ধারাবাহিকভাবে দেশে ভারতবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় জাস্টিন ট্রুডোর সরকার কানাডায় কিছু হিংসার ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে। যদিও ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর পর ভারত তার কানাডিয়ান হাইকমিশনার এবং অন্যান্য কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করেছে। খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতের কথিত জড়িত থাকার অভিযোগের পর ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকে। গত সপ্তাহে ট্রুডো বলেছিলেন, ‘কানাডার সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে ভারত বড় ভুল করছে।’ এরপরই সরাসরি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করা হয়। ভারত-কানাডা বিতর্কে আমেরিকার কানাডার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের বিষয়টি কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।