হিজবুল্লাদের নিশ্চিহ্ণ করতে লেবাননের পর ইজরায়েলের নিশানায় সিরিয়া, হত ৪ 

KHIAM, LEBANON - JUNE 25: Smoke rises from an Israeli strike against a Hezbollah target on June 25, 2024 in Khiam, Lebanon. Hezbollah and the Israeli Defense Forces (IDF) have been trading cross-border fire since the October 7 attacks, with the conflict escalating in May when the group launched a missile-carrying drone against Israel for the first time. The conflict intensified in June when Hezbollah fired hundreds of rockets and drones at Israeli military sites following the killing of senior commander Taleb Abdullah. This marked the largest assault since October 8. The last significant conflict between Israel and Hezbollah occurred in 2006, lasting 34 days and resulting in a stalemate. (Photo by Chris McGrath/Getty Images)

হিজবুল্লাদের নিশ্চিহ্ণ করতে মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননের প্রায় ২০টি শহরে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করে ইজরায়েল। পাল্টা জেরুজালেমের পুরোনো শহরে রকেট হামলা শুরু করে ইরান। সেই হামলা নিয়ে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই হামলার কড়া জবাব দেবে তাঁর দেশ। সাম্প্রতিককালে একাধিক হিজবুল্লা শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। এদিকে মঙ্গলবার ইজরায়েলি সেনা দক্ষিণ লেবাননে অনুপ্রবেশের পর প্রত্যাঘাত শুরু করে ইরান। মঙ্গলবার রাতে ইজ়রায়েলের রাজধানী তেলআভিভকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান সেনা। এই হামলার ঘটনার পরই দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে ইজ়রায়েল সরকার। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। বৈঠক শুরু করেই তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘যারাই হামলা করুক, পাল্টা আক্রমণের সম্মুখীন হতে হবে তাদেরও।’ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেন। মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আজ রাতে ইরান খুব বড় ভুল করেছে। এর জবাব দেওয়া হবে।’ 

মঙ্গলবার ইরান ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও সেই হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। ইরানি হামলায় এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি ইজরায়েল। এদিকে ইরান হামলার নিন্দা করে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইজরায়েলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমেরিকার সেনা সাহায্য করবে ইজরায়েলকে। তবে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির পর বুধবার ইরানি সেনা জবাবে জানিয়েছে, ইজ়রায়েল যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয়, তবে পাল্টা হামলা চালানো হবে।

ইজরায়েল ডিফেন্সের বক্তব্য, নিরীহ নাগরিকদের হত্যার উদ্দেশে এই হামলা চালায় ইরান। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১০২টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। 


প্রসঙ্গত, হিজবুল্লাকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। যুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে এরপর দক্ষিণ লেবানন আক্রমণ করে আইডিএফ। আইডিএফ-এর তরফে হামলা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, দেশবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উত্তর ইজরায়েলের সীমান্ত এলাকায় এই অভিযান শুরু করা হয়েছে।  তবে এই হামলা স্থায়ী হবে না। সীমান্ত থেকে লেবানিজ ও হিজবুল্লা সেনা সরিয়ে দেওয়ার পরই হামলা থামবে।  

এদিকে লেবাননের রাজধানী বেইরুটের পর এবার সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসকে নিশানা করেছে ইজরায়েল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশপথে দফায় দফায় সেখানে হামলা চালানো হয়। হামলায় কমপক্ষে চার জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন বলে সিরিয়ার সংবাদমাধ্যমসূত্রে খব। গুরুতর আহত ১০।

ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড গাজায় হামাসের ঘাঁটির পাশাপাশি লেবাননে হিজবুল্লার ডেরাতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণ লেবাননের কয়েক লক্ষ নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এবার সেখানেও অভিযান চালালো  ইজরায়েলি সেনা।