ভারত পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । চলতি বছরের ৩১ আগস্ট অসমে নাগরিকপঞ্জির চুড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। তারপর থেকে এই নিয়েও সরব হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কাশ্মীর নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ভারতকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করার কৌশল নিয়েছেন ইমরান। এমনকি এই নিয়ে ফের হেগ-এর আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। কাশ্মীর ইস্যুকে বিশ্ববাজারে জিইয়ে রাখতেই এনআরসি’কে হাতিয়ার করেছেন তিনি। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশর।
ভারতের ভেতরের বিষয় অযথা নাক গলানাে ইমরানের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ভারত। ভারতকে মুসলিম শূন্য করতে চায় মােদি সরকার। স্পষ্ট অভিযােগ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তিনি ভারতের এক জাতীয় ইংরাজি পত্রিকাকে জানান, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার যে কোনও অছিলায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর অত্যাচার করে।
তাঁর কথায়, নাগরিকপঞ্জি আসলে মুসলিমদের ভারতছাড়া করার একটা ছুতাে মাত্র। ভারতের এই নাগরিকপঞ্জির নামে অন্যায় প্রক্রিয়ার বিরােধিতা সব মুসলিম রাষ্ট্রের করা উচিত বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
এখানেই থেমে না তেকে তিনি মােদি সরকারকে স্বৈরাচারি নাৎসি সরকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, অসম ও কাশ্মীর বেছে বেছে মুসলিম নিধন করবে বিজেপি সরকার। আমাদের কাছে খবর আছে, প্রধানত মুসলিমদের নিশানা করেই নাগরিকপঞ্জির খসড়া রচনা করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর কথায়, প্রথমে কাশ্মীর পরে অসমে মুসলিমদের টার্গেট করছে মােদি সরকার। তাঁর দাবিকে পাত্তা দিতে নারাজ মােদি সরকার।