নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে বিদেশেও দেবী দুর্গার আরাধনা

৩০ হাজার মাইল দূর। মেরিল্যান্ড। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্ব। সেখানেও নিয়ম নীতি মেনেই চলছে দেবী দুর্গার আরাধনা।

ওয়াশিংটন কালী মন্দির। ২৩-তম বর্ষে পদার্পণ করল এবারের দুর্গাপুজো। প্রবাসী বাঙালিরা পুজোর চারটে দিনের অধিকাংশ সময় কাটান এই কালী মন্দিরেই। নামে কালী মন্দির হলেও এই মন্দিরে রয়েছেন নানান দেব-দেবী। মন্দিরে রয়েছে পাথরের দুর্গা মূর্তিও। দুর্গাপুজোয় সেই মূর্তিই পুজো করেন প্রবাসী বাঙালিরা।

কাজের সূত্রে বিদেশে থাকলেও পুজোর চারটে দিন বাড়ির পরিবেশে পরিণত হয় এই মন্দির চত্বর। শাড়ি, ধুতি,পাঞ্জাবি পরে দেন অঞ্জলি। ভোগেও থাকে রকমারি পদ। এমনকী খিচুড়ি, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি বাদ যায় না খাবারের মেনু থেকে।


প্রবাসী বাঙালি নিলয় চ্যাটার্জি বলেন, ৯ একর এলাকাজুড়ে ওয়াশিংটন কালী মন্দির রয়েছে। নানান দেব-দেবী রয়েছেন এই একটাই মন্দিরে। প্রবাসী বাঙালিরা এখানে পুজোতে জড়ো হন। বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকা মতে ওয়াশিংটনের সময় সূচি মেনেই আমাদের দুর্গাপূজা হয়। ভার্জিনিয়া, পেনসিলভেনিয়ার বাঙালিরাও আমাদের পুজোতে আসেন।

নিলয়বাবু আরও বলেন, সন্ধি পুজোতে প্রায় আড়াই হাজার লোককে ভোগ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে ভোগ বিতরণ করা হয়। রীতি মেনে কুমারী পুজোও হয়। পুজোর কটা দিন কবজি ডুবিয়ে খাওয়া, হৈ-হুল্লোড় করে কেটে যায়। এটাই আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি। তাই পুজোর কটা দিন দেশে ফিরতে না পারলেও মন্দিরটি বাড়ির পরিবেশে পরিণত হয়। খাওয়া, জমিয়ে আড্ডা, হৈ-হুল্লোড় করেই বিদেশের মাটিতে দেশের পুজোর স্বাদ গ্রহণ করেন প্রবাসী বাঙালিরা।