রিয়াধ, ১৯ জুন– গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের৷ প্রশাসনের তরফে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে প্রায় বারনই করা হয়েছে৷ দেশের নানাপ্রান্ত থেকে বিশেষ করে দেশের রাজধানি দিল্লিতে গরমে লাল সতর্কতা জারি হওয়ার জো৷ তবে এই গরমের হাত থেকে রেহাই নেই বিদেশে৷ বিশেষ করে সৌদির অবস্থা আরও করুণ৷ এই মাসে হজে রওনা দেন দেশ বিদেশের অগুনতি মানুষজন৷ হজে যাওয়া সেই মানুষগুলির দিকেই ধেয়ে এসেছে মৃতু্য৷ পেছনের কারণ অবশ্যই তাপদাহ৷
আরব বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, হজে গিয়ে প্রায় সাডে় পাঁচশোর বেশি ভক্তের মৃতু্য হয়েছে৷ সৌদি আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মক্কার বড় মসজিদে সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ এ বছর আনুমানিক ১৮ লক্ষ হজযাত্রী এসেছেন৷ যার মধ্যে ১৬ লক্ষই হলেন বিদেশি৷ অনেকে অর্থের অভাবে সরকারি ভিসা ছাড়াই আসেন৷ ফলে তাঁদের জন্য সৌদি সরকারের এসি সুবিধা থাকে না৷ তীব্র গরমে তাদের থাকতে হয়৷ যাঁরা গরম সহ্য না করতে পেরে মৃতু্যর কোলে ঢলে পডে়ছেন, তাঁদের অধিকাংশই মিশরীয়৷ ৩২৩ জন মিশরবাসীর মৃতু্য হয়েছে গরমে৷
এক কূটনীতিক জানান, তীব্র গরম ও ভিডে়র কারণে অধিকাংশের মৃতু্য হয়েছে৷ মিশরীয় ছাড়াও ৬০ জন জর্ডনের নাগরিক৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, মোট মৃতের সংখ্যা ৫৭৭৷ তবে কূটনীতিক জানিয়েছেন, স্থানীয় আল মুয়াইজেম হাসপাতালের মর্গ থেকে ৫৫০ জনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এছাড়াও প্রায় ২০০০ জন তীর্থযাত্রীর চিকিৎসা চলছে৷ তাও এই হিসেব গত রবিবার পর্যন্ত৷ সৌদি প্রশাসনের তরফে তীর্থযাত্রীদের ছাতা ব্যবহার, অতিরিক্ত জলপান, সোজা রোদে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল৷ তা সত্ত্বেও হজযাত্রীদের অনেক রীতিনীতি আছে যা বাইরে করতে হয়৷ রাস্তার ধারে এই অবস্থায় অনেককে নিথর অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে৷
মঙ্গলবার মিশরের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সৌদি প্রশাসনের সঙ্গে কায়রোর সহযোগিতায় মৃত মিশরীয়দের খোঁজ চলছে৷ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু মানুষের খবর মিলেছে৷