ইসলামাবাদ, ৫ মার্চ – সত্যিই কি জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা নিল পাকিস্তান? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। মাসুদ আজহারের দুই ভাইসহ ৪৪ জন জঙ্গিকে পাক সরকার গ্রেফতার করেছে বলে খবর আসছে। যদিও সত্যি সত্যি পাক সরকার এদেরকে গ্রেফতার করেছে নাকি নজরবন্দি করেছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তান ও ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এই ৪৪ জঙ্গির গ্রেফতারের খবর সঠিক বলে জানিয়েছেন। তবে, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে, বা কিভাবেই বা তাদের নাগাল পেল তা নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমের একটি অংশের দাবি, গ্রেফতার নয়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ গ্রহন করেছে পাক সরকার। ভারতে জঙ্গি হামলা নিয়ে ঘরে-বাইরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যথেষ্টই চাপে রয়েছেন। কারণ, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা, এই প্রশ্নকে সামনে রেখে তাঁর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। কারণ শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশও সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান সরকার আন্তরিক নয়, এমনটা বলছে। ফলে, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকায় ৪৪ জন জঙ্গিকে আটক করে পাকিস্তান সরকার বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে তুলে ধরতে পারবে যে জঙ্গি দমনে তারা যথেষ্টই সক্রিয়। পুলওয়ামায় ৪৯ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর জন্য পাক জঙ্গিদের দায়ী করা হয়েছিল। যদিও ইমরান খান পাক সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, ভারত তাদের হাতে প্রমাণ তুলে দিক যে এর সঙ্গে পাক যোগ রয়েছে। তাহলে তিনি কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবেন। কিন্তু ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ৪৪ জন জঙ্গিকে পাক সরকার গ্রেফতার করেছে বলে যে খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সামনে এসেছে তার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকারের তরফে। আসলে এইভাবে ইমরান খান এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। ভারতের বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিয়ে তিনি যেমন শান্তি এবং সৌহার্দ্যের বারতা দিতে চেয়েছেন, ঠিক একইভাবে জঙ্গিদের গ্রেফতার করে ইমরান খান বোঝাতে চেয়েছেন যে তারা যেকোনও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। যদিও পাক সরকারের এই গ্রেফতারি লোক দেখানো বলেই মনে করছে সংবাদমাধ্যমের সিংহভাগ অংশ।