নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জেরে ফিমি নদীতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নৌকাডুবিতে বেশ কয়েকটি শিশু সহ ২৫ জন যাত্রীর সলিল সমাধি হয়েছে এবং আরও ৭০ জনের বেশি যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। সেজন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইনোঙ্গোর রিভার কমিশনার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৫ জন যাত্রীর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে নৌকাডুবিতে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার ফলে এই বিপত্তি ঘটে।
জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী এই নৌকাটি কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ইনোঙ্গো শহর থেকে রওনা দেয়। দুর্ঘটনার সময় নৌকায় ছিল শতাধিক যাত্রী। নৌকাটির বহন ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার ফলে মাঝ নদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটে বিপত্তি। আচমকা উল্টে গিয়ে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশের উদ্ধারকারী দল। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
উল্লেখ্য, কঙ্গোতে নৌকা ডুবির ঘটনা নতুন নয়। নদীবেষ্টিত এই দেশ নৌকা পরিবহণের উপরই বেশ খানিকটা নির্ভরশীল। কিন্তু জলপথে সুপরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। মূলত এই অঞ্চলে অতিরিক্ত যাত্রী এবং পণ্য বোঝাই নৌকাডুবির অন্যতম কারণ বলেই মনে করে প্রশাসন। চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। গত অক্টোবর মাসেও দেশের পূর্বাঞ্চলে একই ঘটনা ঘটে। সেবারও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের জন্য নৌকাডুবিতে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত জুন মাসে কিনশাসার কাছে আরও একটা নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সেখানে ৮০ জন যাত্রীর সলিল সমাধি হয়।