পাকিস্তানের কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২২ জনের। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। কী কারণে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে জরুরি সহায়তা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। রেলওয়ে কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা আহত যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজে হাত লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরাপত্তা রক্ষীরা স্টেশনটি ঘিরে ফেলে। এলাকাটি সিল করে দেয়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোয়েটায় দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একটি বিস্ফোরণে চারজন মারা যান এবং দ্বিতীয় বিস্ফোরণে প্রায় ১৫ জন মারা হন। কে বা কারা এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার দায় আপাতত কোনও সংগঠন নেয়নি। যে সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন স্টেশনে প্রচুর ভিড় ছিল কারণ এখানে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল।
বিস্ফোরণের পর কোয়েটা রেলস্টেশনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সকলেই পালানোর চেষ্টা করতে থাকেন। ফলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি একটি প্রবল বোমা বিস্ফোরণ। জাফর এক্সপ্রেস যখন ভিন্ডির দিকে যাচ্ছিল, তখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। রেল চলাচলের ওপর বিস্ফোরণের প্রভাব পড়েছে। পেশোয়ারের উদ্দেশে ট্রেনটি ছাড়তে বিলম্ব করা হয়েছে এবং স্টেশনের সব ধরনের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণের খবর নতুন নয়। প্রতিদিনই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। কয়েকদিন আগেও পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে ৪ নিরাপত্তাকর্মী নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। এ ছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি স্কুলের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত হয়।
তারও আগে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে একটি স্কুলের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু-সহ সাতজন নিহত এবং অন্তত ২২ জন আহত হন। বাইকে আইইডি বসিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই ঘটনার পর কোয়েটার সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।