ভয়াবহ টাইফুন ট্রামির জেরে বিধ্বস্ত ফিলিপিন্স। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩৬ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধ্বংসযজ্ঞে আটকে পড়া মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস। যদিও এই দেশের এখনও অনেক এলাকা বন্যা কবলিত। সেজন্য সেখানে ত্রাণ পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে।
একদিকে ভারতের বাংলা এবং ওড়িশা যেমন ‘দানা’র দাপটে বিপর্যস্ত। ঠিক তেমনি টাইফুনের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে এখন শোকের ছায়া। এবছরে এটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেখানকার একটি বেসরকারি সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ফিলিপিন্সে এই বিধ্বংসী ঝড়ের জেরে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৩৬ জন পার হয়ে গিয়েছে। বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। ধসের জেরে মাটির নিচে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। মাটি খুঁড়ে তাঁদের দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। এছাড়া গাছ ভেঙে ও পাথরের বোল্ডারের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে আরও অনেক মানুষের।
এদিকে ফিলিপিন্সের সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ঝড়ের গতিপথে প্রায় ৫ মিলিয়ন লোক বিপর্যয়ের মুখে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বহু মানুষকে অন্যত্র, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যার ফলে বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হলেও ঝড়ের অভিমুখ পরিবর্তন না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আবহাওয়াবিদরা। শুধু তাই নয়, ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ভিয়েতনামও এর কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।