করােনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লাে গ্রেট ব্রিটেনে। তারই অভিঘাতে ফের জাতীয় লকডাউন ঘােষিত হল রাণীর দেশে। দ্বিতীয় দফায় কোভিড ১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলার পরেই শনিবার গ্রেট ব্রিটেনে এক মাসের জন্য জাতীয় লকডাউন ঘােষণা করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ইওরােপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করােনা মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে ব্রিটেনেই। ফের করােনার ঢেউয়ের জেরে বিলেতে একদিনে ২০ হাজারেরও বেশি লােক সংক্রামিত হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দ্বিতীয় দফার করােনার কবলে পড়ে মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে লকডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বরিস। তিনি ঘােষণা করেন যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এক মাসের জন্য লকডাউনে থাকবে গােটা দেশ। চলবে চডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময় শুধুমাত্র পড়াশােনা, কর্মক্ষেত্র, ব্যায়াম নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিসেপত্র ও ওষুধ কিনতে বাড়ি থেকে বেরনাের অনুমতি রয়েছে নাগরিকদের।
জনসনের কথায়– এখন এমন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর আমাদের হাতে কোনও রাস্তা নেই। নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিসের দোকান, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় খােলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনসন। তবে পাব ও রেক্তরাঁয় শুধু টেক-অ্যাওয়ে খােলা থাকবে। নিত্য প্রয়ােজনীয় নয় এমন সব জিনিসপত্রের দোকান এই সময়কালে বন্ধ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ব্রিটেনকে আরও খারাপ অবস্থার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে কোভিড ১৯। বড়দিনের আগে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে অবিলম্বে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
প্রথম লকডাউনের সময় দেরিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযােগ করে জনসনের প্রতি তোপ দেগেছিলেন বিরােধীরা। প্রথম দফায় মার্চ থেকে ৪ জুলাই লকডাউন ছিল। মার্চের শেষেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এপ্রিলের গােড়ার দিতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল।