অটোয়া, ৭ জানুয়ারি – বিমান যখন মাঝ আকাশে তখন এক সহযাত্রীকে আচমকাই আক্রমণ করল এক নাবালক। ওই সহযাত্রী আবার আক্রমণকারী নাবালকেরই আত্মীয়। গোটা ঘটনার জেরে হতভম্ব যাত্রীরা। হুলুস্থুল পরিস্থিতি বিমানে। চরম ভোগান্তির মুখে পড়লেন বিমানের বাকি সব যাত্রীরা। তড়িঘড়ি অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হল বিমানটিকে। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের তিন ঘণ্টা পরে গন্তব্যে পৌঁছলেন যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটে কানাডার এয়ার কানাডা উড়ান সংস্থার বিমানে। টরন্টো থেকে ক্যালগারিতে যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমানের যাত্রীদের। কিন্তু বিমান আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
বিমান যখন আকাশে উড়ছে, তখন আচমকাই আগ্রাসী হয়ে ওঠে বছর ১৬-র এক নাবালক। সহযাত্রীকে খুনের চেষ্টা করে সে। ঘটনাচক্রে, ওই সহযাত্রী আবার নাবালকের পরিবারেরই এক সদস্য। আক্রমণাত্মক ওই নাবালককে কোনও মতে আটকান বিমানকর্মীরা। সরিয়ে নিয়ে যান অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে। বিমানের মধ্যে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয়। তবে অভিযুক্ত নাবালককে সঙ্গে সঙ্গে আটকও করা হয়। এরপর গন্তব্যে পৌঁছতে ওই নাবালকের সঙ্গে যেতে চাননি বাকি যাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে মাঝপথে বিমান অবতরণ করতে বাধ্য হন পাইলটরা।
জানা গিয়েছে, ক্যালগরিতে যাওয়ার বদলে মাঝপথে উইনিপেগে বিমানটি অবতরণ করে। সেখানকার পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় সময়ে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ হঠাৎই জরুরি অবতরণ করতে চেয়ে অনুরোধ জানায় একটি বিমান। কারণ হিসেবে বলা হয় ,এক যাত্রীকে আক্রমণ করেছে অন্য এক জন। ওই বিমানবন্দর থেকেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত নাবালককে। সেখান থেকে ফের ক্যালগরির দিকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছন যাত্রীরা।