ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র প্রভাব শুরু রাজ্যে! আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন

দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত। আন্দামান সাগরের উপর তৈরি নিম্নচাপের জেরে, পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার সেই নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে তা স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ঘূর্ণিঝড় পরিণত হলে তার নাম হবে ‘ডানা’। ‘ডানা’ নামটি দেওয়া কাতারের।

জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আগামী বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। যার জেরে, দক্ষিণবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাংশে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশেও। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে।

নিম্নচাপের জেরে কালীপুজোর সময় রয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে কয়েকটি জেলায় ২৩ অক্টোবর রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।


আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এই কয়েকটি জেলায় আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে ঘণ্টায় ৭ থেকে ১১ সেমি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গের বাকি সব অংশ শুষ্ক থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।

অবশ্য রবিবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে, নেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে।

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।