ঘূর্ণিঝড় ফেনজল শনিবার স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূল বরাবর করাইকল এবং মহাবলিপুরমের মধ্যে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর এই নিম্নচাপটি ত্রিঙ্কোমালি থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পূর্ব ও উত্তরপূর্বে গত কয়েক ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে সরেছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তরপূর্ব বরাবর বঙ্গোপসাগরের দিকে সরে গিয়েছে৷ শনিবারই এই ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের ল্যান্ডফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
দিল্লির মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটির আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা এবং শুক্রবার পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে । মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এই নিম্নচাপ ৩০ নভেম্বর সকালের দিকে তামিলনাড়ু-পুদুচেরির উপকূল অতিক্রম করার পর করাইকল এবং মহাবলিপুরমের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মৌসম ভবনের তরফে ঘূর্ণাবর্তের গতিবিধি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফেনজলের। আপাতত শ্রীলঙ্কা উপকূল পেরিয়ে তার অভিমুখ তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে । যদিও বঙ্গে এর তেমন কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না ৷
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় ঘন্টায় ৯ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়েছে ৷ ত্রিঙ্কোমালি থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, নাগাপট্টিনমের ৩৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরির ৩৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং চেন্নাইয়ের ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে এই গভীর নিম্নচাপ।