দিল্লি, ১১ এপ্রিল— এপ্রিলের গরমেই প্রাণ যায়-যায় অবস্থা৷ হিমশিম খেতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যকে৷ এপ্রিল টপকে মে মাসে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন৷ তবে মাঝেমধ্যে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা৷ তাতে খানিকটা স্বস্তি মিললেও পুরোপুরি রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না৷ জুন মাস মানেই বর্ষার আগমনের সময়৷
তবে এবার গ্রীষ্ম আর বর্ষার সমীকরণটা বদলাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আবহাওয়াবিদরা বলছেন, লা নিনা আসছে৷ এর জেরে ভারতের বর্ষার মরশুম ওলটপালট হতে পারে৷ এবারের বর্ষাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে— এপ্রিল থেকে জুলাই এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর৷ এল নিনোর প্রভাবে প্রথম অর্ধে তাপমাত্রা বাড়বে, আর লা নিনা চলে এলে দ্বিতীয় অর্ধে ঘোরতর দুর্যোগ তৈরি হবে৷ লা নিনার প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে৷ পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে৷ ফের চড়ছে পারদ, নববর্ষে গরমে ভোগান্তির পূর্বাভাস দেশের মধ্যে কেরলে প্রথম পা রাখে বর্ষা৷ কেরলে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন৷
বর্ষার অপেক্ষায় পশ্চিমবঙ্গও৷ এ রাজ্যে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন৷ তবে চলতি বছরে কবে বাংলায় পা রাখবে বর্ষা, তা এখনও জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ যদিও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কেরলে বর্ষা তাড়াতাডি় এলেই যে বাংলাতেও তাড়াতাডি় ঢুকবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ এল নিনোর ঠিক বিপরীত হল লা নিনা৷ ‘লা নিনা’র সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বয়ে চলা বায়ুর চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটে৷ তখন উষ্ণ জলস্রোত প্রবাহিত হতে থাকে পশ্চিমের দিকে৷