মিজোরামে ৪০টি আসনেই ভোটগ্রহণ হবে মঙ্গলবার। এই প্রথম কোন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে যেতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পূর্ব নির্ধারিত সূচি থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের প্রচারে মিজোরামে গেলে উঠে আসবে মণিপুর প্রসঙ্গ। তাই অস্বস্তি এড়াতেই মিজোরামে প্রচারে যাননি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জেপি নাড্ডা। ৪০টি আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২১। মোট ১২৭৬টি বুথে ১৭৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন সে রাজ্যের প্রায় ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ভোটদাতা।
মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচনে এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। একদিকে রয়েছে জোরামথাঙ্গার দল, অন্যদিকে বিজেপি। এছাড়াও রয়েছে কংগ্রেস। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান ইস্যু মণিপুরের হিংসা। মিজোরামে সরকার গঠনে মরিয়া ক্ষমতাসীন মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় এবার তাদের ফল আগের থেকে ভালো হবে বলে দাবি বিজেপির। ওইদিকে গত বছর নির্বাচনে মাত্র ৫টি আসনে জিতলেও এবার আবার সেখানে সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস।
ছত্তিশগড়ে জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী কংগ্রেস। ভোটের দুদিন আগেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে বেটিং আপে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিল ইডি। কিন্তু তাতেও ভীত নয় কংগ্রেস। সোমবার কংগ্রেসের সার্ভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্পষ্ট বলেন,কংগ্রেস ছত্তিশগড়ে জিতবে। অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী রমন সিং বলেন, ‘ভুপেশ বাঘেল এখন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে প্রথম দফায় ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার ডিভিশনের ৭ জেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের কাছে কত বড় চ্যালেঞ্জ। বস্তার ডিভিশন ছাড়াও আরও ৪ জেলায় মোট ২০টি আসনে এদিন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। এদিকে ভোটের ঠিক তিন দিন আগে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হানায় খুন হন এক বিজেপি নেতা। ছত্তিশগড়ের কৌশলনগর বাজার এলাকায় বিজেপির নারায়ণপুর জেলা ইউনিটের সভাপতি রতন দুবেকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই সময় ভোটের প্রচার করছিলেন এই বিজেপি নেতা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কৌশলনগর এলাকা জুড়ে।
মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশন-সহ অন্যান্য এলাকায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন প্রশাসনের তরফে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উপর বিশেষ নজর রাখা হবে। সূত্রের খবর, বস্তার ডিভিশনের সংবেদনশীল ৬০০-র বেশি ভোটকেন্দ্রকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ৬০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী, ৪০ হাজার সশস্ত্র বাহিনী এবং ২০ হাজার রাজ্য পুলিশ।
এদিকে মাওবাদীরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। ফলে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছে কমিশন। প্রথম ধাপে পাণ্ডারিয়া , কাওয়ার্ধা, খয়রাগড়, ডোঙ্গারগড়, বস্তার, খুজ্জি, রাজনন্দগাঁও, জগদলপুর, এবং চিত্রকূট বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে, আন্তাগড়, ভানুপ্রতাপপুর, কেশকাল, নারায়ণপুর, কোন্ডাগাঁও, মোহলা-মনপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর ও কোনতা বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল সাতটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।